কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগপোস্ট লিখতে হয় (নতুন আপডেট) How to write SEO Friendly blogpost


কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগপোস্ট লিখতে হয়
কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগপোস্ট লিখতে হয়
(নতুন আপডেট),কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগপোস্ট লিখতে হয় আমি আপনাকে এই পোস্টের মাধ্যমে পুরোপুরি ব্যাখ্যা করবো।আপনি যদি আপনার ব্লগ পোস্ট লেখার ক্ষেত্রে আমাদের এ পোস্টটি ফলো করেন তাহলে সহজেই কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগপোস্ট লিখতে হয় তা আপনি যেনে যাবেন।

কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগপোস্ট লিখতে হয়

এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগপোস্ট লিখতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছূ নির্দিষ্ট প্রসেস ফলো করতে হবে।কোন  একটা বিষয়ে এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগপোস্ট লিখতে হলে আমাদরে এই পোস্টে যে যে পয়েন্টগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তা আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগপোস্ট লিখতে হয় তা জানতে হলে আপনাকে আগে ব্লগ কি তা জানতে হবে। আপনি যদি ব্লগ কি তাই না জানেন তাহলে কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগপোস্ট লিখতে হয় তা পারবেন না।তাহলে আসুন ব্লগ কি তা আগে জানি।


ব্লগ কি?

ব্লগ হচ্ছে এমন বিষয় বা টপিক যা কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে বিষদ আলোচনার অনুচ্ছেদ। যে কোন বিষয়ের উপর যখন কোন ওয়েবসাইট বিষদ আলোচনাসহ কোন অনুচ্ছেদ লিখে কোন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে কখন তাকে ব্লগ বা কনটেন্ট বলে। আর যিনি বা যে সাইট ব্লগ বা কনটেন্ট তৈরী করে তাকে বা তাদেরকে ব্লগার বলে।ব্লগে এসইও ফ্রেন্ডলী পোস্ট লেখার অভিনব কৌশল বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।


কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগপোস্ট লিখতে হয় তা লিস্ট আকারে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ-

১. কিওয়ার্ড অপটিমািইজেশন
২. ব্লগের টাইটেল
৩. ইমেজ অপটিমািইজেশন
৪. মেটা ডিসক্রিপশন
৫. h1,h2,h3,h4- ট্যাগের ব্যবহার
৬. লেবেলের ব্যবহার
৭.  পারমালিংক-এর ব্যবহার
৮. এক্সটারনাল লিংক-এর ব্যবহার
৯. ইন্টারনাল লিংক-এর ব্যবহার
১০. আর্টিকেলের দৈর্ঘ্য
১১. FAQs-এর ব্যবহার
১২. মন্তব্যের ব্যবহার

আপনার ব্লগকে সম্পূর্ণ এসইও অপটিমাইজ করতে হলে উপরের পয়েন্টগুলো আপনাকে স্টেপ বাই স্টেপ প্রয়োগ করতে হবে। আসুন উপরে উল্লেখিত পয়েন্টগুলো ধারাবাহিত ভাবে আলোচনা করি।

১. কিওয়ার্ড অপটিমািইজেশনঃ

এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগপোস্ট লিখার ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড রিসার্চ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি নির্দিষ্ট নিয়মানুসারে কিওয়ার্ড রিসার্চ না করে ব্লগ লিখেন তাহলে কখনোই আপনার আর্টিকেল র‌্যাংক করবে না। কারণ সার্চ ইন্জিনসমূহ নির্দিষ্ট একটা অ্যালগারিদমের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। আর এ অ্যালগারিদম-ই ‍নিয়ন্ত্রণ করে কোন সাইটের আর্টিকেল কোথায় র‌্যাংক করবে। তাই অবশ্যই বুজতে পারছেন এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগপোস্ট লিখতে হলে আপনাকে কিওয়ার্ড অপটিমািইজেশন বা কিওয়ার্ড রিসার্চ-এর গুরুত্ব অপরিসীম। কিওয়ার্ড অপটিমািইজেশন বা কিওয়ার্ড রিসার্চ-এর জন্য অনেক টুল সাইট রয়েছে যা ব্যবহার করে কিওয়ার্ড অপটিমািইজেশন বা কিওয়ার্ড রিসার্চ করা যায়।তার মধ্যে রয়েছে, Ahrefs কিওয়ার্ড এক্সপ্লোরার (ফ্রি ও পেইড),Ubersuggest (ফ্রি ও পেইড),কিওয়ার্ড সারফার গুগল ,ক্রম এক্সটেনশন (ফ্রী),Whatsmyserp গুগল ক্রম এক্সটেনশন (ফ্রী),Google Search Console।  কিওয়ার্ড সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। যেমন, শর্ট টেইল কিওয়ার্ড এবং লং টেইল কিওয়ার্ড।


কিওয়ার্ড রিসার্চ এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপসঃ- 

লং টেইল কিওয়ার্ড এর সার্চ ভলিউম কম থাকে । তাই সব সময় লং টেইল কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন। এবং লং টেইল কিওয়ার্ড এর কম্পিটিটর ও কম। এতে করে  টার্গেটেড গ্রাহকরা সহজেই আপনার আর্টিকেল টি খুজে পায়। ফলে গুগলে আর্টিকেল টি র‌্যাংক করবে। আপনি যদি নিউ ব্লগার হয়ে থাকলে নিজের ব্লগ সাইট কে যদি গুগলে র‌্যাংক করাতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে লং টেইল কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য  আপনি কিছু টুলস এর সাহায্য নিতে পারেন। যেগুলো আপনাকে কাঙ্ক্ষিত কিওয়ার্ড খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। উইবার সাজেস্ট এবং গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার এক্ষেত্রে ভালো হবে। এই টুলস একদম ফ্রি সার্ভিস দেয়।
আপনার যে আর্টিকেল গুগলে ভালো মতো র‌্যাংক করেছে সে আর্টিকেল এর লিংক এড করে দিন। ইনটার্নাল লিংক এড করে দেওয়ার ফলে আপনার আর্টিকেল থেকে প্রচুর ভিজিটর পাবেন।
সব সময় চেষ্টা করুন মুল টপিক টা কে কেন্দ্র করে আর্টিকেল লেখার। এতে আপনার আর্টিকেলে প্রবেশ করার পর একজন ভিজিটরের মনোযোগ বাড়ে যাবে।


২. ব্লগের টাইটেলঃ

ব্লগের টাইটেল অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। টাইটেল হচ্ছে ব্লগ ওয়েবসাইটের প্রাণ।  আপনার পোস্ট ভাইরাল হবে কি হবে না, তার সাথে গভীরভাবে জড়িত। ভিজিটর তার প্রয়োজনীয় কিওয়ার্ড  দিয়ে গুগলে সার্চ করে, তারপর প্রথম পেইজের রেজাল্টের মধ্যে সবথেকে আকর্ষণীয় টাইটেলগুলো দেখে সেটার মধ্যে ক্লিক করে থাকে।
বুঝতেই পারছেন, ব্লগ ভিত্তিক ওয়েবসাইটে টাইটেলের গুরুত্ব কতটুকু? আমরা না বুঝেই ব্লগের জন্য টাইটেল তৈরি দিয়ে থাকি। এর ফলে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রত্যাশিত ভিজিটর পাই না। এই পোস্টে আমরা আলোচনা করবো টাইটেল অপটিমাইজেশনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যা অনুসরণ করলে আপনি আপনার ব্লগের জন্য সুন্দর এবং পারফেক্ট টাইটেল  সহজেই তৈরি করে নিতে পারবেন।

যে যে বিষয়সমূহ লক্ষ্য রেখে আপনি আপনার ব্লগের টাইটেল ব্যবহার করবেন তা নিচে দেওয়া হলো-

  • লং টেইল টাইটেল তৈরি করুন

  • টাইটেলের শুরুতে ফোকাস কিওয়ার্ড রাখুন
  • টাইটেলের মধ্যে একটি পাওয়ার ওয়ার্ড রাখুন
  • টাইটেলের মধ্যে একটি নাম্বার রাখুন
  • টাইটেলের মধ্যে একটি সেন্টিমেন্টাল ওয়ার্ড রাখুন
  • টাইটেল এর মধ্যে ব্রাকেট ব্যবহার করুন
  • টাইটেলকে আকর্ষণীয় এবং অর্থপূর্ণ করুন

৩. ইমেজ অপটিমািইজেশনঃ

ব্লগ সাইটকে সুন্দর করার জন্য এবং কনটেন্টকে এসইও ফ্রেন্ডলি করার জন্য ইমেজ অপটিমাইজেশনের গুরুত্ব অপরীসিম। এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগপোস্ট লিখতে হলে ইমেজ অপটিমাইজেশনের অনেকাংশে ভুমিকা পালন করে থাকে। ওয়াডপ্রেস সাইটের মধ্যে অনেক টিপস বা প্লাগিন ব্যবহার করে সহজে ব্লগে ব্যবহৃত ছবি অপটিমাইজ করা যায়। কিন্তু ব্লগার সাইটের মধ্যে ইমেজ অপটিমাইজেশনের তেমন বেশি প্রসেস নেই। তাই কিছু টিপস ফলো করে এখানে ইমেজ অপটিমাইজেশন করতে হয়। ইমেজ অপটিমাইজেশন বলতে ইমেজ বা ছবিকে কম্প্রেশন করাকে বুঝায়।  ওয়েব বা ব্লগসাইটকে সঠিক এসইও-এর জন্য ছবিকে রেসিও কমানোর প্রয়োজন পড়ে তাই   ইমেজ অপটিমাইজেশন।


ব্লগে ইমেজ ব্যবহারের কিছূ  নিয়ম আলোচনা করা হলোঃ

  • মেজ বা ছবি যেটা ব্লগে ব্যবহার করা হবে তা অবশ্যই ব্লগের বিষয়বস্তুর সাথে সাদৃশ্য হতে হবে।
  • ইমেজ বা ছবির রেজুলেশন অবশ্যই সাইটের রেজুলেশনের সাথে সমন্বয় থাকতে হবে।
  • FreeDigitalPhotos , MorgueFile , Pixabay , Pexels, unsplash ইত্যাদি ওয়েবসাইট রয়েছে যা বিনামূল্যে স্টক ছবি প্রদান করে থাকে। যাতে কপিরাইট না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।
  • ছবির সাইজ কমপক্ষে ১০০ কেভি-এর মধ্যে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
  • ছবির ভিবিন্ন ফরমেট রয়েছে। যেমন Jpeg, Png,Gif এবং webp -এগুলোর মধ্যে যেকোন ফরমেট আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
  • webp -ফরম্যাট হচ্ছে সেরা ফটো ফরম্যাট , এটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটে আপলোড করলে গুগল দ্রুত ইন্ডেক্স এবং অপটিমাইজেশন হয়ে থাকে। আপনি cloudconvert ওয়েবসাইট থেকে ফরম্যাট ঠিক করে নিতে পারেন।
  • সব সময় ব্লগে ব্যবহৃত ফিচারড ইমেজ (1200 x 680) এবং আর্টিকেল ইমেজে (500 x 300) রাখার চেষ্ঠা করুন।
  • Alt ট্যাগ সবসময় কীওয়ার্ড অনুসারে লিখতে হবে । ছবির Alt ট্যাগের মধ্যে সবসময় কীওয়ার্ডটি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
  • picresize ওয়েবসাইট থেকে অথবা simpleimageresizer আপনার প্রয়োজনমতো ছবির সাইজ  ঠিক করে নিতে পারবেন।

৪. মেটা ডিসক্রিপশনঃ

মেটা ডিসক্রিপশন সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। ‍যদিও মেটা ডিসক্রিপশন কোন র‌্যাংকিং ফেক্টর নয় তবুও মেটা ডিসক্রিপশন আপনার ব্লগের সঠিক পরিচয় বহন করে। মেটা ডিসক্রিপশন  ১৫৬ ক্যারেক্টার বা তার কিছু কম বেশি ক্যারেক্টারের মধ্যে লিখার চেষ্টা করুন। কারণ গুগল ১৬০,ইয়াহু ১৬৫,এম এস এন ২০০ টি করে অক্ষর দেখায়। কাস্টোমার বা ভিজিটর আমাদের পেইজে দুইটা প্রশ্ন নিয়ে ক্লিক করে থাকে- পেইজ কি অফার করা হয়েছে আর কি কারণে ভিজিট করা উচিত?এই দুইটা প্রশ্নের উত্তর মেটা ডেস্ক্রিপশনে দিতে হবে। যেন ভিজিটর সহজেই আমাদের সাইটে ক্লিক করে।Meta Description অর্থপূর্ন ভাবে লিখুন।যেন সহজেই সকলে বুজতে পারে। এবং Meta Description এ কমা , ব্যবহার করার চেষ্ঠা করুণ।

৫. h1,h2,h3,h4- ট্যাগের ব্যবহারঃ

একটি ব্লগ পোস্টে প্রধানত ৬ ধরনের হেডিং ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই Heading H1 থেকে H6 পর্যন্ত হয়। H1-এর সর্বোচ্চ গুরুত্ব রয়েছে, তার পরে H2 এবং আরও অনেক কিছু এবং H6-এর গুরুত্ব সবচেয়ে কম।আপনি যদি আপনার ব্লগে H1,H2,H3,H4 এর ব্যবহার ঠিকমতো না করেন তাহলে কখনোই আপনার ব্লগ র‌্যাংক করবে না। ব্লগ পোস্টের টাইটেল  সম্বলিত অনুচ্ছেদের মধ্যে H1 ট্যাগ ব্যবহার করবেন।তারপর পর্যায়ক্রমে  H2,H3,H4 ব্যবহার করতে হবে।
মোট ছয় ধরনের হেডিং ট্যাগ এর ব্যবহার রয়েছে।

৬. লেবেলের ব্যবহারঃ

এসইও ফ্রেন্ডলি পোস্ট করার ক্ষেত্রে পোস্টের মধ্যে লেভেল বা ক্যাটাগরি যোগ করা অপরিহার্য একটি বিষয়। ব্লগার ব্লগস্পট সাইটে পোস্ট করার ক্ষেত্রে পোস্ট সেটিং অপশন থেকে লেভেল বা ক্যাটাগরি যোগ করে দিতে পারেন।

৭.  পারমালিংক-এর ব্যবহারঃ

এই ধাপে আমরা ব্লগারে পারমালিংক সেটিংস সম্পর্কে শিখব।এই পারমালিংক একটি নির্দিষ্ট ব্লগ পোস্ট বা ক্যাটাগরির একটি স্থায়ী লিঙ্ক। ব্লগারে ডিফল্ট পারমালিংক কাঠামো পরিবর্তন করার সুবিধা রয়েছে।  ব্লগারে আপনার পেইজ ও পোস্টগুলির পারমালিঙ্ক গুলি কাস্টোমাইজ করে ব্যবহার করতে পারবেন।

৮. এক্সটারনাল লিংক-এর ব্যবহারঃ

একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেজের বিভিন্ন স্থানে যেমন হোম পেজ হেডার ফুটার সহ বিভিন্ন স্থানে যখন অন্য কোন ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেজের আর্টিকেলকে লিংকিং করা হয় কে এক্সটার্নাল লিংকিং বলে। এক্সটার্নাল লিংক কে আবার আউট বাউন্ড লিংক বলা হয়ে থাকে। 
সাধারণভাবে বলা যায় যে, আপনার ওয়েবসাইটে যখন অন্য কোন ওয়েবসাইটের কোন কিছু লিংকিং করা থাকে সেটাকে এক্সটার্নাল লিংক হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
উদাহরণ স্বরূপঃ আপনি ফ্রিতে আপনার ওয়েবসাইটের DA PA চেক  করতে চাইছেন। সেজন্য আপনাকে  DA PA Checker -এ ক্লিক করতে হবে। এখন যদি এই লেখাটাকে ক্লিক করা মাত্র আপনাকে অন্য একটি সাইটে নিয়ে যায় বা অন্য একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেজ ওপেন হয় তাহলে এটাই এক্সটার্নাল লিংক এর উদাহরণ।

৯. ইন্টারনাল লিংক-এর ব্যবহারঃ

ইন্টার্নাল লিংক হচ্ছে সম্পূর্ণভাবে এক্সটার্নাল লিংক এর বিপরীত অবস্থা। আপনি আপনার ওয়েবসাইটের একটি পোস্টের মধ্যে  যখন অন্য একটি পোস্টের লিংক যোগ করে দিবেন তখন তাকে ইন্টার্নাল লিংকিং বলা হয়ে থাকে। সম জাতীয় পোস্ট যখন করা হয় তখন ওই পোস্টের মধ্যে ইন্টার্নাল লিংক করলে ভালো এসইও ফলাফল পাওয়া যায়। ইন্টার্নাল লিংক কে ইনবাউন্ট লিংক ও বলা হয়ে থাকে। 
মূল কথা হলো, আপনি যখন আপনার একই ওয়েবসাইটের পোস্টকে অন্য একটি পোস্টের ভিতর লিংকিং করবেন তখন তাকে ইন্টার্নাল লিংক বা ইনবাউন্ড লিংক বলা হয়ে থাকে। 
ইন্টার্নাল লিংকিং এর ফলে ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমে যায় এবং ওয়েবসাইটে ইউজার এঙ্গেজমেন্ট বাড়ে। যার ফলে গুগল সার্চ রেজাল্টে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
এখন আপনি যদি উপরের এই লিংকটিতে ক্লিক করেন তাহলে এই সাইটের অন্য একটি পোস্টে আপনাকে নিয়ে যাবে। তার মানে ইন্টার্নাল লিংকিং করা হয়েছে।

১০. আর্টিকেলের দৈর্ঘ্যঃ

এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে আর্টিকেলের দৈর্ঘ্যের উপর যথেষ্ট মনোযোগ দিতে হবে। কমপক্ষে ৭০০ থেকে ৮০০ ওয়ার্ডের ভিতর আর্টিকেল লিখলে ভালো হয়। কিন্তু সবসময় আর্টিকেলের দৈর্ঘ্যের সাথে আর্টিকেলের বিষয়বস্তু মিল রেখে আর্টিকেল লিখতে হবে।

১১. FAQs-এর ব্যবহারঃ

Frequently Asked Questions (FAQs)-সেকশন এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে থাকে। 
এটা গুগল সার্চ রেংকিং এর একটা ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। আপনি যদি আপনার কোন ব্লগ পোস্ট লেখার পরে নিচের দিকে এই সেকশন যোগ করেন তাহলে ভিজিটররা অনেক প্রশ্নের সহজ উত্তর পেয়ে যায়। যার ফলে আপনার ওয়েবসাইটের বাউন্সিং রেট বাড়ে এবং ভিজিটরও সন্তুষ্টি প্রকাশ করে।

১২. মন্তব্যের ব্যবহারঃ

আপনি আপনার ওয়েবসাইটের ব্লগ পোস্টের মধ্যে যে বিষয়ে ব্লগটি লিখলেন মন্তব্যের কলামে সে বিষয়ে একটি সারমর্ম উপস্থাপন করার ফলে আপনার ব্লগের মর্মতা প্রকাশ পায়। যা একজন ইউজারকে আপনার ওয়েবসাইটের প্রতি পজিটিভ ধারণা দেয়। যার ফলশ্রুতিতে একজন ইউজার পুনরায় আবার এই সাইটটি প্রবেশ করে ব্লগ পড়ার ইচ্ছা পোষণ করে।

FAQs:

এসইও কি? 

এস ই ও হচ্ছে, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। সহজ কথায় আমরা যখন কোন কিছু লিখে গুগল এ বা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ দেই, তখন গুগল বা অন্য সার্চ ইঞ্জিন গুলো কিছু রেজাল্ট দেখায়। সেখান থেকে আমরা পছন্দমত লিংকে ক্লিক করে আমাদের কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইট ভিজিট করে দরকারি তথ্য সংগ্রহ করি। তাই বলা যায় যে কারণে আমাদের সার্চ রেজাল্ট গুলো সার্চ ইঞ্জিন সমূহ পর্যায়ক্রমিকভাবে দেখায় তাকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলে।

কেন এসইও করা হয়ে থাকে? 

সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজের প্রথম সারিতে অবস্থান করার জন্য মূলত এসইও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

এসইও কত প্রকার ও কি কি?? 

ডিজিটাল মার্কেটিং এসইও বিভিন্ন ধরনের হতে পারে মৌলিক প্রকারভেদ গুলোর নিচে দেয়া হলোঃ

  • টেকনিক্যাল এসইও
  • অন পেইজ এসইও
  • অফ পেইজ এসইও
  • কনটেন্ট এসইও
  • লোকাল এসইও
  • মোবাইল এসইও
  • ই-কমার্স এসইও


উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে ব্লগ পোস্ট লেখার ক্ষেত্রে এসইও ফ্যাক্টর মেনে ব্লগ পোস্ট না লিখেন তাহলে কখনোই আপনার এই পোস্টটি সার্চ ইঞ্জিন রাঙ্ক করাবে না। যার ফলশ্রুতিতে আপনি ব্লগে যতই পরিশ্রম করেন না কেন কখনই সফল হবেন না। তাই উপরোক্ত বিষয়াবলী ছাড়াও আরো অনেক গুগল রেংকিং ফ্যাক্টর রয়েছে। যেগুলো অনুসরণ করে ব্লগ পোস্ট লিখলে রেংকিং ফ্যাক্টর বাড়ে। 


আশা করি এতক্ষণ যে বা যারা মনোযোগ দিয়ে আমাদের এই পোস্টটি পড়েছেন, তারা অবশ্যই কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।


আরো পড়ুুনঃ   How to make Code Box On any website blogpost
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post